চলমান কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় কুমিল্লায় গণসমাবেশ করছে বিএনপি। তবে এই সমাবেশ রূপ নিয়েছে চোরের সমাবেশে। গণসমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের ফোন উধাও হয়ে যাচ্ছে মুহূর্তেই। অন্যান্য বিভাগের মতো কুমিল্লাতেও সমাবেশ শুরুর আগেই উপস্থিত নেতা-কর্মীদের ফোন ভিড়ের মধ্যে চুরি হয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় টাউনহল মাঠে মিছিল নিয়ে আসতে দেখা গেছে হাজারো নেতা-কর্মীদের। সমাবেশের মাঠে ঢুকতে না ঢুকতেই অনেকে হারিয়ে ফেলেছেন ফোন। কেউবা আবার হাততালি দিতে গিয়ে খুইয়েছেন নিজের পছন্দের ডিভাইসটি।
চান্দিনা থেকে আসা বিএনপির কর্মী সালেক মিয়া বলেন, ‘আমি টাউনহলে এসে স্লোগান দিচ্ছিলাম। ছবি তোলার জন্য পকেটে হাত দেই। দেখি আমার মোবাইলটা নেই। এভাবে দলীয় সমাবেশে এসে ফোন চুরি হবে, ভাবতে পারিনি।’
বিএনপির ওই কর্মী দুঃখ করে বলেন, ‘আমার ছোট ভাই দুবাই থেকে পাঠিয়েছিল ফোনটি। মনটা খারাপ হয়ে গেল। দলীয় সমাবেশে এসে নিজ দলের কর্মীদের দ্বারা এভাবে চুরি হওয়ায় দলের প্রতি বিশ্বাসটাও উঠে গেল।’
আসলে চুরিটা শুধুমাত্র কর্মীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। শুক্রবার মধ্যরাতে মঞ্চ পরিদর্শন করতে যাওয়া বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার আইফোন সিক্স প্লাস মোবাইলটাও চুরি গেছে। এরপর থেকে শুরু হয়েছে মোবাইল চুরির হিড়িক। সমাবেশ শুরু না হতেই শতাধিক নেতাকর্মীর ফোন চুরির খবর পাওয়া গেছে।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মামুনের মোবাইল চুরি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমি যখন হাততালি দিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলাম তখনই কে যেন পকেটে হাত দিল। এক সেকেন্ডের মধ্যেই পকেটে হাত দিয়া দেখি মোবাইলডা গায়েব।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা মো. আশিকের এক হাতে পতাকা ও আরেক হাতে ফেস্টুন ছিল। পকেটে কেউ হাত দিয়েছে মনে হওয়ার পর তিনি দেখেন তার ফোনটিও নেই। এরকম শতাধিক মোবাইল খোয়া গেছে সমাবেশ শুরুর আগেই।
জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, সমাবেশ শুরুর আগে গতকাল রাত থেকেই মোবাইল চুরির ঘটনা শুরু হয়েছে। সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের মধ্যে বহিরাগত থাকতে পারে। তারা গণজমায়েতের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এসব চুরির ঘটনা ঘটাতে পারে। সমাবেশ শেষ হওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে