logo
Monday , 21 November 2022
  1. সকল নিউজ

হিলি চেকপোস্টে নেই স্ক্যানার, বেড়েছে সোনা পাচার

প্রতিবেদক
admin
November 21, 2022 9:26 am

স্ক্যানার মেশিন না থাকায় দিনাজপুরের হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে সোনা পাচার বেড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে কয়েক জনকে বিপুল পরিমাণ সোনাসহ আটক করেছেন হিলি কাস্টমসের গোয়েন্দারা।

গত ১৯ অক্টোবর বিকালে হিলি চেকপোস্টে পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষে ভারতে ঢোকার ঠিক আগমুহূর্তে দুই কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের ২৪টি সোনার বারসহ পাচারকারী চক্রের পাঁচ জনকে আটক করা হয়। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী কাস্টমসের চোখ ফাঁকি দিয়ে সোনা নিয়ে ভারতে পার হয়ে গেলেও ৯টি স্বর্ণের বারসহ সে দেশের কাস্টমসের হাতে আটক হয়।

কাস্টমসের হাতে আটক সোনা পাচারকারীরা বলেছে, ‘আমরা ঢাকার চকবাজারসহ নানা জায়গা থেকে সোনা জোগাড় করে নিয়ে যাই ভারতের কলকাতার বড়বাজার এলাকায়। সেখানকার দোকানে বিক্রি করা হয় এসব। প্রতিটি ১০ গ্রাম সোনার বারে আমাদের লাভ হয় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। আরো একবার এই পথ দিয়ে ভারতে সোনা নিয়ে গিয়েছিলাম।’

স্থানীয় মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘হিলি চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করেন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ এই পথ দিয়ে ব্যবসা, চিকিৎসা, ভ্রমণ, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাত্সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ভারতে যান, ভারত থেকেও লোকজন বাংলাদেশে আসেন। কিন্তু এখানে যাত্রীদের ব্যাগেজ ও দেহ তল্লাশির জন্য স্ক্যানার মেশিন নেই। ফলে অবৈধ পণ্য অনায়াসে দেশে ঢুকে যাচ্ছে। আবার বেরিয়েও যাচ্ছে। সম্প্রতি সোনাসহ পাচারকারী চক্রের কয়েক জনকে কাস্টমস আটক করেছে। একটি স্ক্যানার মেশিন বসালে পাচার বন্ধ হবে।’

হিলি চেকপোস্টের ওসি মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা হিলি চেকপোস্ট দিয়ে চলাচলকারীদের শুধু পাসপোর্ট দেখে থাকি। ব্যাগেজ দেখে কাস্টমস। তবে এই পোর্টে ভালো মানের স্ক্যানার বসানো উচিত। তাহলে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসকে ফাঁকি দেওয়া কঠিন হবে।’

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, ‘হিলি চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ জন পাসপোর্টযাত্রী বাংলাদেশ-ভারতে যাতায়াত করেন। যারা ডলার পাচার বা সোনা পাচার বা হুন্ডি কারবার করে তাদের তো আমরা চিনি না। এখানে স্ক্যানার মেশিন থাকলে আমরা সব চেক করতে পারব। স্ক্যানার না থাকার সুযোগটিকে কাজে লাগাচ্ছে সোনা চোরাকারবারিরা।’

হিলি কাস্টমস গোয়েন্দার রাজস্ব কর্মকর্তা শোয়েব রহমান বলেন, ‘আগে যারা নিয়মিত বিমানযোগে ভারতে যাতায়াত করতেন সম্প্রতি তারা এই পথ ব্যবহার করে ভারতে যাচ্ছেন। তারা যখন যে পথে সুযোগ পান সে পথই কাজে লাগিয়ে সোনা পাচার করেন। আমরা অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছিলাম এ পথ দিয়ে কোনো চক্র সোনা পাচার করে কি না, দেখতে। এবার আমাদের চেষ্টা সফল হয়েছে। তিনি বলেন, সোনা পাচারকারীরা যাতে এই পথ ব্যবহার করে পাচার করতে না পারে সেজন্য তদারকি বাড়নো হয়েছে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ