নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বন্দরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এক বিএনপি নেতাসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মী মো. সোহাগ বাদী হয়ে বন্দর থানায় এ মামলা করেন। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মামলার ২ নম্বর আসামি নূর মোহাম্মদ পনেছ, ৪ নম্বর আসামি সজিব হোসেন, ৫ নম্বর আসামি আজিজুল হক রাজিব ও ৬ নম্বর আসামি হুমায়ূন কবির বুলবুল।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুলের নির্দেশে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বন্দরের কবিলের মোড় এলাকায় ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এতে কার্যালয়ের দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘এগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ। মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।’
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। রিকশাযোগে কয়েকজন মুখোশধারী সেখানে প্রবেশ করে কার্যালয়ে থাকা চেয়ার ভাঙে। সেইসঙ্গে দলীয় ছবি সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে তারা।