চট্টগ্রামে সরকারি-বেসকারি প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিতে সবজি বাগান করার নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারি-বেসরকারি দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
পতিত জমিতে সবজি চাষের মাধ্যমে যারা অগ্রগতি দেখাবেন তাদের পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে জুম অনলাইনে জেলা শিক্ষা অফিসার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বন বিভাগ, সিভিল সার্জনসহ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে তাদের চত্বরের পতিত জমিতে সবজি চাষের জন্য নির্ধারিত টার্গেট দেওয়া হয়েছে।
সেক্ষেত্রে আগামী শুক্র ও শনিবার সব প্রতিষ্ঠানকে তাদের চত্বরের পতিত জমি চাষাবাদ উপযোগী করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পরের সপ্তাহে তাতে সবজি বাগান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করতে একটি সুন্দর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সব প্রতিষ্ঠান তাদের চত্বরের পতিত জমিতে সবজি চাষের মাধ্যমে যারা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাবেন তাদের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করে পুরষ্কার দেওয়া হবে।
সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উপজেলায় পতিত জমি নির্ধারণ করে তা চাষাবাদের আওতায় আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে নির্দেশা দেওয়া হয় পাশাপাশি আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রতিটি উপকারভোগী যেন তাদের বসবাসের স্থানের পতিত জায়গা ফেলে না রাখে এবং সবজি চাষ করেন সে বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এছাড়া বনবিভাগ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রোডস অ্যান্ড হাইওয়েজ, বিটিএমসিসহ যেসব বড় বড় সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের আওতায় চাষাবাদযোগ্য বিপুল পরিমাণ জমি পতিত অবস্থায় রয়েছে তাদের সব পতিত জমিকে সবজি চাষের আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে এবং পতিত জমিতে আবাদের বিষয়টি জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক মনিটর করবে বলে সভায় জানানো হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, পতিত ভূমি কীভাবে কাজে লাগানো যায় এ ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সরকারি-বেসরকারি অফিস ও বাসা বাড়ির পতিত জমিতে সবজি চাষের মাধ্যমে ভূমি ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরপর তিন বছর কোনো আবাদি জমি কেউ পতিত রাখলে তা খাস করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলার বেশির ভাগ অফিসেই পতিত জমি রয়েছে এগুলো পতিত না রেখে কাজে লাগানোর স্বার্থেই সবজি ও ফলের বাগান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার ফলে সবজির ঘাটতি নিরসনসহ পরিবেশের ভারসাম্য ও ভূমি ব্যবহারের কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
সভায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের আওতায় সকল অফিস ,স্কুল, হাসপাতালসহ বাসা বাড়িতে পতিত জমিতে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চারা লাগানোর উপযোগী করে পরের সপ্তাহে চারা রোপনের ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষে নেবেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘরগুলোর সামনে পতিত জমিতে সবজি ও ফলের বাগান করতে আর্থিক সহায়তা ও চারা গাছ দেওয়া হবে।
এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইউএনও অফিস ও এসিল্যান্ড অফিসগুলোর আওতায় সকল অফিসে সবজি বাগানসহ ফলের বাগান শুরু হয়েছে।