logo
Wednesday , 9 November 2022
  1. সকল নিউজ

মায়ের কান্না সংগঠনের মানববন্ধন জিয়ার কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরানোর দাবি

প্রতিবেদক
admin
November 9, 2022 8:41 am

১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিমান ও সেনাবাহিনীর দু-তিন হাজার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার অসম্পূর্ণ রয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের পেছনে চন্দ্রিমা উদ্যান রোডে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে নিহতদের স্বজনরা নানা দাবি জানান।

জিয়াউর রহমান ও সব যুদ্ধাপরাধীর কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলা এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

কর্নেল নাজমুল হুদার সন্তান সংসদ-সদস্য নাহিদা এজাজ খান বলেন, ৪৭ বছর আগে আমার বাবাকে হারিয়েছি। জিয়া নির্মমভাবে আমাদের বাবাকে হত্যা করেছেন। একজন খুনির কবর কোনোভাবেই সংসদ ভবনের মতো পবিত্র এলাকায় থাকতে পারে না।

মামুনুর রশীদ মজুমদার বলেন, আমরা এ দেশের নাগরিক। অথচ আমার বাবাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার বিচার আজও আমরা পাইনি। আমার বাবার কবরটা চিহ্নিত করে দিন। যেন বাবার কবর জিয়ারত করতে পারি। এতে আমাদের কষ্ট কিছু লাগব হবে। পাশাপাশি পবিত্র সংসদ এলাকা থেকে জিয়ার কবর অপসারণ করা হোক।

বাবার কথা স্মরণ করতে গিয়ে মাছুমা আক্তার বলেন, আমাদের বাবার লাশটা পর্যন্ত আমরা পাইনি। বাবা বলে ডাকতে না পারাটা অনেক কষ্টের। আমার বাবাকে ফাঁসি দিয়ে নির্মমভাবে মেরে ফেলা হয়েছে। জিয়া একজন খুনি ও অপরাধী। এ পবিত্র সংসদের পাশে জিয়ার কবর উচ্ছেদ করার দাবি জানান তিনি।

১৯৭৭ সালে স্বামী হারানো লায়লা বলেন, আমার স্বামী বিমানবাহিনীতে চাকরি করতেন। বিচারের নামে জিয়া আমার স্বামীকে হত্যা করেছেন। ৪৫ বছর পার হলো আজ পর্যন্ত আমার স্বামীর লাশ খুঁজে পাইনি। আমার স্বামীর লাশ খুঁজতে বিমান বাহিনীর অফিসসহ অনেকের দ্বারে গিয়েছি। কিন্তু তারা আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর অনেক কষ্টে সন্তানদের নিয়ে জীবন অতিবাহিত করছি। পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকতে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবর সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে ঠান্ডা মাথার খুনি বলে রায় দিয়েছিলাম। এ রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে জিয়ার অনুসারীরা সম্প্রতি আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাকে খুন করারও চেষ্টা করছে। জিয়া মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের সহচর হিসাবে কাজ করেছেন। এ কারণে ক্ষমতায় এসে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে খুন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধারা যখন সংগঠিত হচ্ছিল তখন জিয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। বিচারের নামে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সেনাদের হত্যা করা হয়েছে। স্বজনরা আজও তাদের প্রিয়জনের লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। জিয়া যে দলটি গড়ে তুলেছিলেন তার ব্যানারে রাজনীতি করার কারও অধিকার নেই। জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এ দুটি দল স্বাধীনতাবিরোধী। তদন্ত কমিশন গঠন করে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার দাবি জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার বজলুল হক বলেন, জিয়াউর রহমানের কবর সংসদ ভবন এলাকায় থাকলে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা শান্তি পাবে না। আমরা যারা বেঁচে আছি, এখান দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের কষ্ট হয়। আমি আশা করব-এ মায়ের কান্না বঙ্গবন্ধুকন্যা শুনতে পাবেন।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ বীর বিক্রম, মাহাবুব উদ্দীন আহমদ বীর বিক্রম, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহিদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তমের কন্যা মাহজাবিন খালেদ, মায়ের কান্নার আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিঞা লেলিন প্রমুখ। এতে ১৯৭৭ সালে গণফাঁসির শিকার সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। এ সময় রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের নেতা ও অঙ্গসংগঠনের নারী-পুরুষসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা অংশ নেন।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত

গত দশকে বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়ন বিশ্বে অনন্য: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি ও জামায়াত আমল মানেই দুর্নীতিগ্রস্ত শাসনামল

ভোলার ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি, পুলিশকেও গুলি করেছে: তথ্যমন্ত্রী

দেশের অর্থনীতির নতুন দ্বার খুলবে পদ্মা রেল সেতু

ঢাকার ২২৯ সরকারি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, দুই মাসের মধ্যে ভাঙতে হবে ৪২টি

বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রী : কর্মসূচি করেন আপত্তি নেই, মানুষের ওপর হামলা হলে ছাড়বো না

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট কাউন্টারে বিক্রি শুরু ১৩ জুন

অবৈধ প্রক্রিয়ায় বিয়ে, জামিন পেলেন ক্রিকেটার নাসির

শেখ হাসিনার মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা বিএনপির কোনো নেতার নেই : পরশ

ফিলিস্তিনের কাছে মানবিক সহায়তা হস্তান্তর বাংলাদেশের