logo
Wednesday , 2 November 2022
  1. সকল নিউজ

তিস্তা চুক্তি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে বাধা নয়: হাছান মাহমুদ

প্রতিবেদক
admin
November 2, 2022 8:36 am

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির মুখাপেক্ষী আর নয় বাংলাদেশ। তিস্তা ছাড়াও ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য অনেক বিষয়ে আছে যা তিস্তার মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তিন দিনের ভারত সফরে দুই দেশের তথ্য এবং সম্প্রচার বিষয়ক একাধিক ইস্যুতে বৈঠক সেরে দেশে ফিরে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার ড. হাছান মাহমুদ দিল্লির জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেছেন।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহু বিতর্কিত তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা জানি এটি একটি সুদীর্ঘ প্রসারী পরিকল্পনা। তবে আমরা ভারত সরকারের ওপর আস্থাশীল। এটিও সত্য যে তিস্তার পানিবণ্টন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প হওয়া সত্ত্বেও আমরা এটি নিয়ে ভাবছি না। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এর মুখাপেক্ষী নয়। এমন বহু পরিকল্পনা আছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দু-দেশের পারস্পরিক উন্নয়নের পক্ষে। দুই দেশেরই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা সেগুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’

শুধু তিস্তা চুক্তি নয়, সিএএ বা নাগরিকত্ব আইন নিয়েও কোন কথা বলতে চাননি বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, ‘এটি সম্পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তা ছাড়া বিষয়টি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই, এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা উচিত হবে না।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে যা দিন-দিন বেড়ে চলেছে। তিস্তা চুক্তি এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে কোনোরকম প্রভাব ফেলবে না বলে জানান তিনি।

করোনা কালে ভ্যাকসিন, ওষুধপত্র, অ্যাম্বুলেন্স প্রভৃতি দিয়ে ভারত সরকার যেভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে সে জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদও জানান হাছান মাহমুদ।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু ইস্যুতে মাহমুদের দাবি, ‘বাংলাদেশে কেউই সংখ্যালঘু নন। সবাই ভূমিপুত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ধর্মের মানুষ যাতে সমানাধিকার পান, সে নিয়ে অগ্রণী বাংলাদেশ। তবে কিছু কিছু ষড়যন্ত্রীরা থাকে, যারা দুই রাষ্ট্রের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ সে দিকে কড়া নজর রাখছে।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আঞ্চলিক স্থিতাবস্থায় জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখাও সেখানে সমান গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের পরে যেভাবে সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতি মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই করছে বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। ভারতের মতো সহযোগী বন্ধুর হাত ধরে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে সব সমস্যা কাটিয়ে উঠবে বলেও আশা করেন তিনি।

আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের যোগদান নিশ্চিত বলে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভারতের আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা খুশি ও গর্বিত।’

সর্বশেষ - সকল নিউজ