টানা ছুটিতে পর্যটকরা ছুটে আসছেন হ্রদ-পাহাড়ের শহর রাঙামাটিতে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা ও সব মিলে সরকারি চার দিনের ছুটি পাওয়ায় এবার পর্যটকের চাপ বেড়েছে। এদিকে হঠাৎ করে পর্যটকের চাপে শহর ও মেঘের রাজ্য সাজেকের হোটেল-মোটেল ও কটেজের কোনও রুম আর খালি নেই। প্রায় শতভাগ বুকিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (৫ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গাপূজা, শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বুধবার থেকে সরকারি ছুটি শুরু হয়। শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার একদিন ছুটি নিতে পারলেই পরের আরও তিন দিন ছুটি কাটানো সম্ভব হচ্ছে। এ সুযোগে সব মিলে প্রায় পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে অনেকেই মঙ্গলবার রাত থেকেই রাঙামাটিতে আসতে শুরু করেন। আবার অনেকে বৃহস্পতিবার ছুটি না পাওয়ায়, শুক্রবার আসবেন, এমন বুকিংও রয়েছে প্রচুর।
রাঙামাটির হোটেল স্কয়্যার পার্কের মালিক মো. নেওয়াজ উদ্দিন বলেন, টানা ছুটিতে দীর্ঘদিন পর আবারও প্রত্যাশা অনুযায়ী পর্যটক আসছে। ৩ তারিখ থেকে শতভাগ বুকিং চলছে। আর এই টানা ছুটিতে আরও বেশি বুকিং বেড়েছে। আমাদের ৯ তারিখ পর্যন্ত কোনও রুম খালি নেই। আশা করছি যারা ইতোমধ্যে এসেছেন বা আসবেন সবাইকে ভালো সার্ভিস দিতে পারবো।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, টানা সরকারি ছুটিতে আমাদের প্রায় ৯০ ভাগ বুকিং হয়েছে। আশা করছি কালকের মধ্যে শতভাগ হবে। কারণ পরের আরও তিন দিন ছুটি রয়েছে। এ ছুটিকে কাজে লাগিয়ে পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবদেরকে নিয়ে অনেকেই আসছেন রাঙামাটিতে।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সূত্রে জানা গেছে, সেখানকার ১১২টির মতো রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ আগাম ভাড়া হয়ে গেছে। সাজেকে এসব রিসোর্ট-কটেজে দৈনিক সাড়ে তিন হাজারের বেশি পর্যটক থাকতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন বাড়ি ও তাবুতে বেশ কিছু পর্যটক রাত্রি যাপন করেন।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন বলেন, সাজেকে আজ ৫৭০ গাড়ি প্রবেশ করেছে। এসব গাড়িতে প্রায় চার হাজার পর্যটক এসেছেন। প্রথমদিকে সড়কে কিছুটা সমস্যা থাকলেও এখন সব কিছু স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানান তিনি।