logo
Thursday , 25 August 2022
  1. সকল নিউজ

তাসনিম খলিল- ভুয়া নথি তৈরি আর বিক্রি করাই যার পেশা

প্রতিবেদক
admin
August 25, 2022 9:28 am

তাসনিম খলিল। একজন স্বঘোষিত সাংবাদিক। তার মূল পেশা বাংলাদেশ সরকারবিরোধী বিভিন্ন ভুয়া নথি তৈরি করা আর বিদেশী স্পাইদের কাছে দেশের স্বার্থ সংক্রান্ত নথি বিক্রি করা। পাশাপাশি প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করে বিএনপি-জামায়াতে স্বার্থ হাসিল করা।

জানা গেছে, জামায়াতের আদর্শে বিশ্বাসী পিতার নির্দেশেই বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে একের পর এক মিথ্যা তথ্যে ভরা নথি বানাচ্ছেন। সেই নথি দিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মরিয়া এই কথিত সাংবাদিক।

সম্প্রতি নেত্র নিউজ নামক এক ভুঁইফোড় সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার আর দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন তিনি। খুব সচেতনভাবে ১৩ আগস্ট বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) বন্দীশালা নিয়ে ‘আয়নাঘর’ নামক প্রোপাগান্ডা ভিডিও প্রতিবেদনটি প্রচার করে তাসনিম খলিল। তখন বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট উপস্থিত। তার সফর চলাকালীনই কেন এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো, এর আগে কেন প্রকাশিত হলো না? এতেই প্রমাণ হয় এই প্রতিবেদনের বিশেষ কোন উদ্দেশ্য আছে?

দেশবিরোধী এই অপশক্তির সেই বিশেষ উদ্দেশ্যের প্রমাণ মেলে আয়নাঘর নামক প্রতিবেদনটিতে সাক্ষাতকার দেওয়া শেখ মোহাম্মদ সেলিমের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিংয়ে। ফাঁস হওয়া সেই চ্যাটিংয়ে দেখা যায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সেলিম ডিজিএফআই নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দেন।

বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে তাসনিমের এক সুইডেন প্রবাসী সমকামী পার্টনার। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনি জানান, ‘প্রায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে তাসনিম এই প্রতিবেদনের গ্রাউন্ড তৈরি করার জন্য কাজ করছে। আমাদের এক ঘনিষ্ঠ সময়ে হঠাৎ তাসনিমের ফোন আসে তখনই সে উঠে চলে যায়। তাড়াহুড়ার কারণ জানতে চাওয়ায় তাসনিম বলেছিল- খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করছি। অনেক টাকার কাজ। একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী সাক্ষাৎকার দিবে এখন। ওকে অনেক টাকা দিছি। আমার দেরি করা যাবে না। এখনই যেতে হবে।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের বাংলাদেশ সফরকালীন নেত্র নিউজের এ ধরনের প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের আরেকটি নীল নকশা। এ ধরনের প্রোপাগান্ডা প্রতিবেদন প্রচারের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা। সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থাকে জড়িয়ে এ ধরনের অপপ্রচারের মাধ্যমে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার জন্য তারা এ অপপ্রচার চালিয়েছে। এদের অপপ্রচার ও গুজব থেকে সাবধান থাকতে হবে দেশবাসীকে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ