logo
Friday , 19 August 2022
  1. সকল নিউজ

ফিলিস্তিন-মিয়ানমারের দিকে নজর দিন: জাতিসংঘকে তথ্যমন্ত্রী

প্রতিবেদক
admin
August 19, 2022 9:27 am

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের উচিত ফিলিস্তিন, মিয়ানমারের দিকে নজর দেওয়া। ভালো হতো যদি সংস্থাটির হাইকমিশনার বাংলাদেশে ২০১৩-১৪-১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসে হতাহতদের পরিবারের কথা শুনতেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের শিশুরা ইসরাইলি সৈন্যের দিকে ঢিল ছুড়লে বিনিময়ে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়ে তাদের হত্যা করা হয়। আর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে বাংলাদেশকে বাহবা দিলেই হবে না, মিয়ানমারে গিয়ে সেখানে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটা ওইসব দেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের নজর দেওয়া উচিত।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হলো জিয়া ও তার দল। জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল, খুনিদের পুনর্বাসিত করেছিল। শুধু তাই নয়, ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজারো সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল। আর তার তৈরি করা দল বিএনপি ও তাদের দোসর জামায়াত হরতাল-অবরোধের নামে ২০১৩-১৪-১৫ সালে কয়েক শ’ নিরীহ মানুষকে পেট্রলবোমায় পুড়িয়ে মেরেছিল।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের মন্তব্য প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই এই আইন। এই আইন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তাদের বলব অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরের আইনের দিকে তাকান। সেখানকার আইনে আমাদের চেয়েও কঠিন ধারা আছে। আমাদের যে ধারাগুলো নিয়ে কথা হয়, ভারত-পাকিস্তানেও একই রকম ধারা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফ্রেমওয়ার্ক ল’ করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। সেটির আলোকে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের আইন করেছে। কই সেগুলো নিয়ে তো কথা বলেন না?

তিনি বলেন, হ্যাঁ- এই আইনের যাতে অপপ্রয়োগ না হয়, সেজন্য আমরা সতর্ক আছি। কেউ যাতে নিগৃহীত না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলব ও যারা এর পটভূমি রচনা করেছে, বাসন্তীকে জাল পরিয়ে জনগণকে উত্তেজিত করেছে; তাদের বিচার ও মুখোশ উন্মোচনের জন্য কমিশন গঠনের দাবির সঙ্গে আমি একমত।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করেছিল ও সরকারি চাকরি দিয়েছিল তারা এখনো রাজনীতিতে রয়েছে। তারা দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান চায় এবং বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্র ও সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে তা ভঙ্গ করে বঙ্গবন্ধু হত্যায় কুশীলবের ভূমিকা নিয়েছেন। সংবিধান লংঘন করেছেন। সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাশ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছেন।

শেকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, শেকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মো. সাঈদুর রহমান সেলিম প্রমুখ।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত