বরখাস্ত কর্নেল শহীদ, বহুমূখী অপরাধীর এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। পর্ব -৫

এর আগের পর্বে আপনারা জানতে পেরেছেন কর্নেল(বরখাস্ত) শহীদ তার স্ত্রী আর মেয়েদের কে নিয়ে কিভাবে বেলাল্লাপনা করে বেড়ায় এবং তার ফলশ্রুতিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা।
দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে বসে ইন্টারপোলের দণ্ডিত সন্ত্রাসী-ফান্ডার কর্নেল (বরখাস্ত) শহীদ উদ্দিন খান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জঘন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং যুবকদের নিয়োগ দিয়ে দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি যখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা শহীদ উদ্দিন খানের গ্যাং সদস্যদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল, তখন সে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে পতনের কুখ্যাত এজেন্ডা নিয়ে বাংলাদেশে জিহাদি এবং আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে।
তার এজেন্টকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কর্নেল (বরখাস্ত) শহীদ উদ্দিন খান ফেসবুক পোস্টে বলেছে: “বাংলাদেশে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য শত শত মানুষ তাদের রক্ত বিসর্জন দিতে এবং শহীদ হতে প্রস্তুত”।
এদিকে বিএনপির কর্মী শাহাদাত উল্লাহ নুর সুমন নামে একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছে “আলহামদুলিল্লাহ। মানবিক শেবা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম চলমান থাকবে কর্নেল (বরখাস্ত) শহীদ উদ্দিন স্যারের সহযোগিতায়”। যদিও এই পোস্টটি দেখতে অনেক নির্দোষ এবং মানবিক মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তবে এটি ইন্টারপোলের একটি কুখ্যাত বিড যা সন্ত্রাসী-তহবিল দাতা শহীদ উদ্দিন খান, যুবকদের নিয়োগ এবং পরে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মোতায়েন করার জন্য গঠন করেছে।
তথ্যমতে, শাহদাত উল্লাহ নুর আবদুর রব ভুট্টোর আত্মীয়, একজন ইসলামপন্থী বাংলাদেশ-বিরোধী, ভারত-বিরোধী, হিন্দু-বিরোধী এবং ধর্মনিরপেক্ষতা-বিরোধী প্রচারক এবং কর্নেল (বরখাস্ত) শহীদ উদ্দিন খানের সক্রিয় সহযোগী। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রব ভুট্টোর পরামর্শে ইন্টারপোল ওয়ান্টেড শহীদ উদ্দিন খান বাংলাদেশ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে তার বিপজ্জনক এজেন্ডায় যুবকদের নিয়োগ ও সংগঠিত করার জন্য বিএনপিপন্থী ‘মানবিক সেবা ফাউন্ডেশন’-এর ব্যানার ব্যবহার করছে। যেহেতু শাহাদত উল্লাহ নুর দাবি করেছেন যে কর্নেল (বরখাস্ত) শহীদ উদ্দিন খান তাদের অর্থায়ন করছে। ২০১৮ সাল থেকে পলাতক থেকেও লন্ডন থেকে শাহাদত উল্লাহ নুরকে নগদ অর্থ পাঠিয়ে যাচ্ছে কর্নেল (বরখাস্ত) শহীদ। সকল অর্থায়ন কর্নেল (বরখাস্ত) শহীদ উদ্দিন খানের ট্রান্সন্যাশনাল মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লন্ডন থেকে সিলেটে স্থানান্তর করা হয়।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সন্ত্রাসী অর্থায়নকারী কর্নেল (বরখাস্ত) শহীদ উদ্দিন খান পরিচালিত সন্ত্রাসী গ্রুপের স্লিপার সেলের এক সদস্য গ্রেপ্তার হয় এবং সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য স্বীকার করে যে, বাংলাদেশের গৌরব ও অর্জনের প্রতীক পদ্মা সেতুর জমকালো উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে স্বার্থান্বেষী মহলসহ সন্ত্রাসী তহবিলকারী শহীদ উদ্দিন খানের গ্রুপের সদস্যরা নানা ধরনের নাশকতামূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করেছিল। শহীদ উদ্দিন খানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কুখ্যাত চক্রান্তের অংশ হিসেবে জনগণের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উল্টো এজেন্ডা নিয়ে দেশে লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করছে।
১৪ জুন, ২০১৯-এ, ভারতীয় সংবাদপত্র দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এবং আইএএনএস নিউজ এজেন্সি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে: ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর লন্ডন-ভিত্তিক প্রাক্তন কর্নেল(বরখাস্ত) এর জড়িত থাকার ব্যাপারে তদন্তের সত্যতা পেয়েছে।
দেশবিরোধী এই চক্রান্তকারীরা দেশের মধ্যে এক সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করে এভাবেই দেশের ক্ষতি করে যাচ্ছে দেশের মানুষের অগোচরে।
পরবর্তী প্রতিবেদনে আসছে তার আরও অপকর্মের ইতিহাস …।