logo
Thursday , 14 July 2022
  1. সকল নিউজ

হলুদ সাংবাদিক তাসনিম খলিলের সাতকাহন পর্ব-১

প্রতিবেদক
admin
July 14, 2022 9:25 am

আজ আমরা এমন এক ব্যক্তির সম্পর্কে জানবো যিনি টাকার কাছে বার বার বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। টাকার কাছে বিক্রি করেছেন নিজের ধর্মকে নিজের দেশকে। টাকার বিনিময়ে যিনি বিদেশীদের কাছে তুলে দিয়েছিলেন দেশের মূল্যবান তথ্য। আজকে আমরা সেই গাদ্দারের মুখোশ ফাঁস করবো। কাতারের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রোপাগান্ডা মিডিয়া আল জাজিরার ইউটিউব চ্যানেলে ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ শিরোনামে প্রকাশিত চরিত্রগুলোর মধ্যে একজন ছিলেন তাসনিম খলিল। কথিত এই সাংবাদিক উক্ত ভিডিও প্রচারের মাধ্যমে জনসম্মুখে আসলেও তার অতীত জুড়ে সকল কর্মকান্ডই ছিলো রাষ্ট্রবিরোধী এবং সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক। তিনি বাংলাদেশের বেশকিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল তথ্য ব্যক্তিগত ইমেইল ও মোবাইলে টেক্সটের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের অর্থের বিনিময়ে প্রদান করার চেষ্টা করেন। যার ফলশ্রুতিতে তাকে সন্দেহের তালিকাভূক্ত করে তার বাড়ীতে তল্লাশি চালানো হয়। তার বাড়িতে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন তল্লাশী চালাচ্ছিলো তখন তারা তার ব্যক্তিগত কম্পিউটারের মনিটরে একটি ইমেইল টাইপরত অবস্থায় দেখতে পায়। তারা ইমেইলটিতে কি লেখা হয়েছে সেটি দেখতে চেষ্টা করলে তাসনিম খলিল সাথে সাথে কম্পিউটারের রিস্টার্ট বাটন চেপে দেয় যাতে করে তার পাচারকৃত তথ্য আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা না পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ২০০৭ সালের ১১ মে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাকে আটক করে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই।
তাসনিম খলিল আসলে কাদের হয়ে কাজ করছেন?

প্রথমত তিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের প্রদান করতেন। পরবর্তীতে যখন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তার এই কূটচাল সম্পর্কে জেনে যায় তখন তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে সরাসরি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর কাজে জড়িয়ে পড়েন। তাসনিম খলিল বাংলাদেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত। এই তথাকথিত সাংবাদিক সুইডেনে বসে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সরকার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তার ‘নেত্র নিউজ’ নামের অনলাইন পোর্টাল, ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেল, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এইসব অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে।
২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ডেইলি স্টার পত্রিকায় চাকরি করতেন তাসনিম খলিল। কিন্তু বিভিন্ন উদ্দেশ্য ও পক্ষপাতমূলক সংবাদের কারণে ডেইলি স্টার থেকে তাকে পদচ্যুত করা হয়। এছাড়াও তিনি সিএনএন-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর একটি প্রকল্পে জড়িত ছিলেন। এসময় তিনি দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আক্রমণাত্মক লেখা লিখতে থাকেন।
তাসনিম খলিলের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথে। সিলেট নগরের পৌরবিপনী মার্কেটে কিংশুক মুদ্রায়ণ নামে তাদের একটি পারিবারিক প্রেসের ব্যবসা ছিল। জামায়াত অনুসারি কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত তাসনিমের বাবা কাসেমি মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর ছিলেন। সিলেট নগরে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পরিবার হিসেবে তারা চিহ্নিত। তাছাড়া মাওলানা সাঈদীসহ কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতারা সিলেট সফরে গেলে তাসনিমদের বাড়িতে নিয়মিত যেতেন।
জামায়াত অনুসারি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বাবার ছেলে পলাতক তাসনিম, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী নিজ জীবনে চর্চা ও সমর্থন করেন নাস্তিকতা আর সমকামীতার। জামায়াতি সমর্থক বাবার সমকামী ছেলের দেশ পলায়নের পরবর্তী বেসামাল জীবন এবং রাষ্ট্রবিরোধী প্রোপাগান্ডার ভান্ডার আসছে পরবর্তী প্রতিবেদনে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ