দীর্ঘসময় ধরেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে শ্রীলংকায়। সরকার, প্রশাসন সব ব্যবস্থাই ধসে পড়েছে ২২ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশটিতে।
বিক্ষুব্ধ জনতার চাপে এমপি-মন্ত্রীরা যে যার জীবন নিয়ে পালিয়েছেন। শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন এখন দেশটির বিক্ষোভকারীদের আড্ডাখানায় পরিণত।
কেউ দল বেঁধে সুইমিং পুলে সাঁতরাচ্ছে, কেউ আবার প্রধানমন্ত্রীর আরাম কেদারাগুলোতে বসে তাস পেটাচ্ছে। একদল আবার বাসভবনের সিঁড়ির মুখেই বিরাট উনুন খুঁড়ে কচু সিদ্ধ করছে।
দ্বীপরাষ্ট্রটির গা-ঢাকা দেওয়া প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে অগ্নিগর্ভ শ্রীলংকার চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা অনিশ্চিত করে তুলেছে দ্বীপদেশে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের আয়োজন।
কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০২২ এশিয়া কাপে বিদেশী খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার ব্যাপারটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর শ্রীলংকায় উদ্ভূত পরিস্থিতির দরুন খুলে যেতে পারে বাংলাদেশের ভাগ্য।
২০১৬ সালের পর দ্বিতীয়বার মহাদেশীয় ক্রিকেট আসর আবারও বসতে পারে বাংলাদেশে। সেই আভাস পাওয়া গেছে।
সম্ভাব্য তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। কারণ এই টুর্নামেন্ট আয়োজক হতে আগ্রহী নয় ভারত। যদি পাকিস্তানে খেলা হয়, সে ক্ষেত্রে ভারত সেখানে যাবে না। ২০২২ এশিয়া কাপ তাই বাংলাদেশই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আগামী মাসে শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ হওয়ার কথা। জানা গেছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) প্রস্তুত থাকতে বলেছে। কয়েক দিন আগেও শ্রীলংকা থেকে এশিয়া কাপ সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবেনি এসিসি।
আর এ টুর্নামেন্টটি আয়োজনে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এর আগে ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত টানা তিন আসর এশিয়া কাপের আয়োজন করেছিল। ২০১৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপও সফলভাবে শেষ করেছিল।
শ্রীলংকা সেই আসরে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান খেলবে। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মধ্যে কারা খেলবে বাছাইপর্বের পর সিদ্ধান্ত। আসরের সম্ভাব্য তারিখ ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর।