logo
Thursday , 7 July 2022
  1. সকল নিউজ

বিদ্যুৎ চাওয়ায় বিএনপির আমলে ২০ জনকে হত্যা করা হয়েছিলো

প্রতিবেদক
admin
July 7, 2022 9:54 am

দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বিদ্যুতায়ন হয়েছে সব শহর, গ্রাম, চর। স্বাধীনতার পর ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের জনগোষ্ঠীর ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছিল। এরপর গত এক যুগে বাকি ৫৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎসংযোগের আওতায় এসেছে। বর্তমানে হঠাৎ করে পৃথিবীর সব দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে। যদিও বিষয়টি সাময়িক। তবে এরই মধ্যে এ বিষয়টিকে নিয়ে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে বিএনপি। তারা বলছেন, বিদ্যুৎ কেন যাবে? অথচ বিএনপির শাসনামলে দেশে বিদ্যুৎ ছিলোই না। মাঝে মাঝে আসতো।

বিএনপির এমন দুমুখী স্বভাব নিয়েও ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, নিজেদের সময় বিদ্যুৎ দিতে পারেনি, এখন এসে বলছে বড় বড় কথা। বিষয়টি কপটতার পর্যায়ে পড়ে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, যাদের শাসনামলে বিদ্যুৎ ছিলো না, তারা বলছে বিদ্যুৎ নিয়ে কথরা। অথচ, ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ চাওয়ায় বিএনপির আমলে ২০ জন সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ‘বিদ্যুৎ চাইলে গুলি করত বিএনপি, আওয়ামী লীগ পৌঁছে দিলো আলো।’

বিভুরঞ্জন সরকার আরো বলেন, ‘২০০৫ সালের রমজান মাস। কার্তিকের কাঠফাটা গরমে সাধারণ মানুষের প্রাণান্তকর অবস্থা। ঢাকা শহরজুড়ে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। আর সারাদেশে তো বিদ্যুৎই থাকে না। এমনকি ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়েও বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষুব্ধ হয় আপামর জনতা। অথচ সে সময় শুধু বিদ্যুতের খুঁটি বসিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। ফলে বিএনপির আমলজুড়েই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকটে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় দেশ।’

আওয়ামী লীগের সময়ের তুলনায় বিএনপির সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছিল জানিয়ে বলা হয়, ‘১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ৩শ মেগাওয়াটে উত্তীর্ণ করেছিল, ২০০১ সালে আবার বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে তারেক রহমানের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা কমে হয় মাত্র ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। তার অর্ধেকই সরবরাহ করা হতো ঢাকার কয়েকটি অভিজাত এলাকায়। বাকি অর্ধেক সারাদেশের জন্য। এতে শীতকালেও নজিরবিহীনভাবে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয় দেশজুড়ে।’

শুধু তাই নয়, ‘বিএনপি-জামায়াতের আমলে খোদ ঢাকাতেও দিনের বেলা মোমবাতি জ্বালিয়ে নিয়মিত স্কুলের ক্লাস নিতে বাধ্য হয়েছেন শিক্ষকরা। বিদ্যুৎ না থাকায় পানি উত্তোলনও ব্যাহত হয়েছে শহরে। ফলে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে রাজধানীর সাধারণ জনগণ।’

‘এ সময় গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ না থাকায় চাষাবাদের জন্য ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন কৃষকরা। সেই সুযোগে ডিজেল ও সারের দামও বাড়িয়ে দেয় ‘হাওয়া ভবন’ সিন্ডিকেট। কিন্তু দেশের মানুষ তখন আর সহ্য করতে না পেরে তারেক-মামুন গংদের লুটপাটের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র প্রতিবাদ শুরু করে।’

শুধু বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণেই ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে ২০ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয়। মানুষ সে সব দিন এখনো ভোলেনি। আজকের বাংলাদেশ বদলে গেছে। শতভাগ বিদ্যুতের ওপর ভর করে দেশ ডিজিটাল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। অথচ এখনকার প্রজন্ম জানেই না একসময় বিদ্যুতের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে মানুষদের। আমি মনে করি মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ যাওয়া প্রয়োজন, নতুবা বিএনপির শাসনামলে যে দেশে বিদ্যুৎ থাকতো না সেটা মানুষ ভুলে যেতে পারে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত

বিশ্বজুড়ে রেকর্ড করতে যাচ্ছে ডেঙ্গু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারি

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি: অর্থমন্ত্রী

তিন এসপিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো সরকার

ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ হাইকোর্টের

চার দিনের সফরে শেখ হাসিনা দিল্লি যাচ্ছেন আজ

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ইসলামী দলগুলোকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন, সাফ জানিয়ে দিলেন কামরুল ইসলাম

দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক সেটা বিএনপি-জামায়াত চায় না: প্রধানমন্ত্রী

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি রেমিট্যান্স আনার সুযোগ

ডেঙ্গুতে প্রাণ হারালেন আরও ৯ জন