বাংলাদেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের জন্মদাতা ও লালনকারী হিসেবে পরিচিত দলের নাম বিএনপি। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট নৃশংস গ্রেনেড হামলা চালায়।
আগুন সন্ত্রাস আর জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার ভয়াবহ অপসংস্কৃতি থেকে কোনোদিনও বের হয়ে আসতে পারেনি বিএনপি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি একটি সন্ত্রাসনির্ভর ও ষড়যন্ত্রমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে চিহ্নিত। শুধু দেশেই নয়, কানডার আদালতও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে বিএনপির সৃষ্টি করেছিল। এ দেশের রাজনীতিতে বিএনপি সন্ত্রাসের জন্মদাতা ও লালনকারী হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত। অপরাজনীতির কারণে জনপ্রত্যাখ্যাত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই বিএনপির এখন একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ার।
এব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, গণভিত্তির মধ্য দিয়ে কিংবা জনগণের সংগঠিত প্রয়াসে বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়নি। এক নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে বিএনপির সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি একটি সন্ত্রাসনির্ভর ও ষড়যন্ত্রমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে চিহ্নিত। তাদের চরিত্র সম্পর্কে দেশের মানুষ খুব ভালো করেই ওয়াকিবহাল। সেজন্যই বিএনপি আজ পুরোপুরিভাবেই জনবিচ্ছিন্ন একটি দলে পরিণত হয়ে খাদের কিনারায় অবস্থান করছে।