‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও চায় না বাংলাদেশ উন্নত হোক, পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে যাক। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটা সময় বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বর্তমান সরকারের আমলে খাদ্য নিরাপত্তায় অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশে এখন খাদ্যসংকট ঘটে না।’
শনিবার (২ জুলাই) সকালে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। কিন্তু দেশের স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, আলবদর ও মীর জাফরের বংশধরেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেন। পাকিস্তানিরা যাঁকে হত্যা করতে সাহস পায়নি, আমাদের সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে এ দেশের বাঙালিরা হত্যা করেছে। বিষয়টি চরম অকৃতজ্ঞতা ও নৃশংসতার উদাহরণ।
তিনি বলেন, মাও সে তুং ও লেনিনকে সে দেশের মানুষ পরম শ্রদ্ধাভরে ও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। বঙ্গবন্ধু মাও সে তুং ও লেনিনের মতো মহান নেতা। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, রাজাকার, আলবদররা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এমনকি, এখন পর্যন্ত এ অপশক্তি বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের কৃষিখাত অনেক উন্নত হয়েছে, খাতটিকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই। কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে না পারলে তা সম্ভব হবে না। কোনো ফসলের উৎপাদন একটু বাড়লেই কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পান না। সেজন্য আমরা কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছি। রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সব প্রতিবন্ধকতা নিরসনে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, কৃষিপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে নেদারল্যান্ডস শীর্ষস্থানীয় দেশ, বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে (গ্রিন হাউজ, বিরূপ পরিবেশে) ফসল উৎপাদনে বিশ্বের বুকে উজ্জ্বল উদাহরণ দেশটি। নেদারল্যান্ডসের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিকে আমরা কাজে লাগাতে কাজ করছি।
সভায় প্রবাসী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য আনার ক্ষেত্রে নানান সমস্যা তুলে ধরেন।
এর আগে মন্ত্রী দূতাবাস ভবনে বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ পরিদর্শন করেন। বিকেলে কৃষিমন্ত্রী ইস্ট ওয়েস্ট সিডসের প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ বিজয়ী সিমন গ্রুটসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব রেহানা ইয়াসমিন ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
