র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আবদুল মোমেন।
৫ দিনের সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাত অবস্থান করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আবদুল মোমেন। সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনেও। শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাই-এর এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্ধুত্বের ইতিহাস তুলে ধরেন।
এ সময় উঠে আসে র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গও। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাংলাদেশ সরকার নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ পুরস্কার নাকি ফটোশপের কারসাজী
আরব আমিরাত রুটে বিমান ভাড়া কমানোর চেষ্টা চলছে বলেও জানান মন্ত্রী। বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাহতাবুর রহমান নাসিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর, সাবেক রাষ্ট্রদূত সাঈদ মোহাম্মদ আল মুত্তাসিরসহ আরও অনেকে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব ও সংস্থাটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দফতর।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ রয়েছেন। তিনি এখন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। বেনজীর আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার আওতায়ও পড়েছেন তিনি।
এ ছাড়া র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপে বাংলাদেশ অসন্তোষ জানিয়েছে। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে গত ১১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এ অসন্তোষের কথা জানান পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।