logo
Sunday , 10 October 2021
  1. সকল নিউজ

চতুর জামায়াতের লাশের রাজনীতি: টার্গেট হেফাজতে মাদ্রাসাগুলো

প্রতিবেদক
admin
October 10, 2021 9:42 am

সুযোগ পেলেই একসঙ্গে মহড়া দেয় হেফাজত ও জামায়াত। সম্প্রতি হেফাজতের একাংশের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করেও রাজনীতি করেছে নেতারা। বাবুনগরীর জানাজায় অংশ নেওয়ার অজুহাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রাসায় শোডাউন দিয়েছে জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমান, শিবিরের সভাপতি সালাউদ্দিন আইয়্যুবি, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত আমির মো. শাহজাহানসহ শতাধিক নেতাকর্মী। এসময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে উত্তেজক বক্তব্য দিয়েছে জামায়াত ও শিবিরের নেতারা।

মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী হেফাজতের নিয়ন্ত্রাধীন কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য কৌশলে এগুচ্ছে জাাময়াত। বাবুনগরীর লাশ দাফনের আগেই নতুন আমিরের নাম ঘোষণার কৌশলটিও মূলত তাদের। জামায়াত নেতারা চেয়েছিল, বাবুনগরীর মতোই জামায়াত-ঘনিষ্ঠ কোনো ব্যক্তিকে নতুন আমির হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক। এরপর জামায়াতের দাবি ও জামায়াতপন্থী হেফাজত নেতাদের উদ্যোগে বাবুনগরীর মামাকে তড়িঘড়ি করে হেফাজতের একাংশের নতুন আমির ঘোষণা করা হয়। এরপর জামায়াতের হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুসারে মাদ্রাসাপ্রাঙ্গণেই বাবুনগরীর দাফন সম্পন্ন করা হয়। যদিও মৃত্যুর আগে নিজের পারিবারিক গোরস্থানে দাফনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল বাবুনগরী। কিন্তু মাদ্রাসায় দাফন করা না হলে রাজনৈতিক খুঁটি দুর্বল হয়ে যাবে বলে অভিমত দেয় জামায়াত নেতারা। এনিয়ে হেফাজত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়লে লাশ দাফনে বিলম্ব ঘটে, তবে রাজনৈতিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে শেষপর্যন্ত জামায়াতের পরামর্শ মতো কাজ করে হেফাজত নেতারা।

মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী হেফাজতের নিয়ন্ত্রাধীন কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য কৌশলে এগুচ্ছে জাাময়াত। বাবুনগরীর লাশ দাফনের আগেই নতুন আমিরের নাম ঘোষণার কৌশলটিও মূলত তাদের। জামায়াত নেতারা চেয়েছিল, বাবুনগরীর মতোই জামায়াত-ঘনিষ্ঠ কোনো ব্যক্তিকে নতুন আমির হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক। এরপর জামায়াতের দাবি ও জামায়াতপন্থী হেফাজত নেতাদের উদ্যোগে বাবুনগরীর মামাকে তড়িঘড়ি করে হেফাজতের একাংশের নতুন আমির ঘোষণা করা হয়। এরপর জামায়াতের হাইকমান্ডকে সঙ্গে নিয়ে বাবুনগরীর দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এদিকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষণ ও গণহত্যায় জড়িত থাকার কারণে সাধারণ মুসল্লিরা জামায়াতকে পছন্দ করে না। তাই হেফাজতকে সামনে রেখে দেশের আপামর জনতার ধর্মীয় ভাবাবেগ ব্যবহার করার মাস্টারমাউন্ড নিয়ে এগুচ্ছে জামায়াত। একারণে দীর্ঘদিন থেকে হেফাজতের একটা বড় অংশকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে জামায়াত নেতারা। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, হেফাজতের নিয়ন্ত্রণে থাকা কওমি মাদ্রাসাগুলোর কয়েক লাখ তরুণ শিক্ষার্থীকে নাশকতার কাজে কর্মীবাহিনী হিসেবে ব্যবহারের এজেন্ডা রয়েছে জামায়াতের। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে শিবির কর্মীদের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক যোগাযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জামায়াতের পক্ষ থেকে।

মূলত, ২০১০ সালে অসাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি এবং ২০১১ সালে নারী নীতির বিরোধিতা করে আলোচনার আসে হেফাজত। মূলত, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী তথা নারীদের শিক্ষা ও চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার এজেন্ডা নিয়েই জন্ম হয় এই সংগঠনের। পরবর্তীতে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে এবং দেশজুড়ে নাশকতা চালায়। এমনকি ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উদযাপনকে বানচাল করার জন্যেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর-অগ্নিসন্ত্রাস ও উন্মাদনা সৃষ্টি করে তারা। এসব নাশকতার ভিডিও ফুটেজ থেকেও শতাধিক জামায়াত ও শিবির কর্মীদের উপস্থিতি শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

শুধু তাই নয়- যারা তাদের সঙ্গে নাই, তারা ইসলামের সঙ্গে নাই বলেও একাধিকবার ফতোয়া দিয়েছে হেফাজত নেতারা। দেশের কোটি কোটি জনতাকে কাফের বলেও ফতোয়া দিতেও দ্বিধাবোধ করেনি তারা। জামায়াত-শিবিরের অস্ত্র ও প্রশিক্ষিত ক্যাডারদের ওপর ভরসা করেই এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছে হেফাজত। এদিকে হেফাজতের মাদ্রাসাগুলোকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে দেশজুড়ে নাশকতার নকশা সাজাচ্ছে জামায়াত।

সর্বশেষ - সকল নিউজ