১৮৯৭ সালে ভারতের আসামে স্মরণকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ১২৪ বছর পূর্ণ হয়েছে গত ১২ জুন। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৭। এ ঘটনার প্রভাব পড়েছিল ২৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা ঢাকাতেও, ভূমিকম্প তীব্রতার স্কেলে সেসময় রাজধানীর কম্পন ছিল সাতের বেশি। বর্তমান সময়ে একই দূরত্বে এই মাত্রার ভূমিকম্প হলে সেটার তীব্রতায় ঢাকায় কী প্রভাব পড়বে তা নিয়ে সাজানো হয়েছে ইত্তেফাক অনলাইনের তিন পর্বের বিশেষ প্রতিবেদন। আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
মোটাদাগে দেশের সাধারণ মানুষ ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতন নয়। আসামের ভূমিকম্পের কথাও তাদের স্মৃতিতে নেই। ইত্তেফাক অনলাইনের সঙ্গে আলাপচারিতায় সংখ্যাগুরু মানুষ বিশ্বাসই করতে চাননি যে ১০০ বছর আগে ঘটা ভূমিকম্প একই বা অধিক শক্তিতে আবার ফিরতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞরা ইত্তেফাক অনলাইনকে জানিয়েছেন, এই মাত্রার একটি ভূমিকম্প নিশ্চিতভাবে আসবে। তবে কবে আসবে বা কখন আসবে তা বলা সম্ভব না হলেও দুর্যোগটি নিজের অস্তিত্ব জানান দেবেই। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ভূমিকম্পের সম্ভাব্য উৎপত্তিস্থল আসামের ডাউকি ফল্টের ৫০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সব স্থাপনা ভূমিকম্প সহনশীল হওয়া বাঞ্ছনীয়।
ঢাকার বহুতল ভবনগুলোর মূল দুর্বলতা কোথায়? দেখা গেছে, ঢাকার বহুতল ভবনের কার পার্কিং থাকে নিচতলায়। এই তলাটি শুধু কলাম বা পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। ভাবতে হবে যে- বিল্ডিংয়ের ওজন আছে, বসবাসরত মানুষের ওজন আছে, জিনিসপত্রের ওজন আছে। বিল্ডিংয়ের নিজের ওজনকে বলা হয় ডেডলোড, অন্যান্য সবকিছুর ওজনকে বলে লাইভ লোড।