নিউজ ডেস্ক:
রাজনীতিকে বিদায় জানিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমাতে চাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। জীবনের শেষ সায়াহ্নে ঝামেলা ও রাজনীতিমুক্ত জীবন চান বিএনপির এই নেত্রী। জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্রের তথ্যমতে, সরকারের বিশেষ বিবেচনায় দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত কারান্তরীণ খালেদা জিয়াকে নির্ধারিত মেয়াদ অনুযায়ী মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর শারীরিক নানা জটিলতায় রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন তিনি। কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই দলীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিয়েছেন তার জ্যেষ্ঠপুত্র ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলে তারেক রহমানের প্রভাব এতোটাই যে, ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে হলেও তার শরণাপন্ন হওয়া লাগে নেতাকর্মীদের। দিনের পর দিন তারেকের এই স্বৈরাচারী মনোভাব আরো বিস্তৃত হচ্ছে। এখন সরকারের সহায়তা পেলে লন্ডনে পাড়ি জমানোর কথা ভাবছেন খালেদা জিয়া।
ঘনিষ্ঠ স্বজনরা বলছেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে নৈতিক কোনো শক্তি বিএনপির নেই। তারেক রহস্যময় কারণে নীরব। সব মিলিয়ে দল, নেতাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে মনঃক্ষুণ্ণ খালেদা।
দীর্ঘদিন কারান্তরীণ থাকার ফলে রাজনৈতিক সব হিসেব-নিকেশ বদলে গেছে। এখন মুক্ত জীবন উপভোগ করতে চান খালেদা জিয়া। এ লক্ষ্যে তার পরিবার সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
খালেদার লন্ডন যাত্রার বিষয়টি তাদের কাছে ‘অন্ধকার’ উল্লেখ করে বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, লোকমুখে শুনেছি ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) লন্ডনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীরা তেমনভাবে কিছুই জানেন না। এমনকি এও শুনেছি, দল ও নেতাকর্মীদের ওপর অভিমান করে ম্যাডাম এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজের ফায়দা ও উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সব করতে পারেন। লন্ডনে রাজনীতিমুক্ত জীবন-যাপনের কথা বলে গিয়ে রাজনীতি করবেন না, তার নিশ্চয়তা নেই।