আল-জাজিরার ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামি। তার চেহারা দেখেই চমকে উঠেছেন মিডিয়া সংশ্লিষ্ট লোকজন। বিশেষ করে, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত নাটক, সিনেমার সঙ্গে জড়িত নারী অভিনেত্রীরা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন তারেক রহমান প্রযোজিত ঐ প্রামাণ্য চিত্রে কোথাও সামির পুরো নাম নেই। এমনকি তার বৃত্তান্তও নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া পাড়ার লোকজন তাকে দেখেই চিনে ফেললো।
চ্যানেল ওয়ান প্রতিষ্ঠার পর সামি হয়েছিলেন ঐ চ্যানেলের ইভেন্ট ডিরেক্টর। তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ওরফে খাম্বা মামুন যৌথবাহিনীর কাছে দেয়া লিখিত স্টেটমেন্টে বলেছেন- ‘সামি আমার এবং তারেকের কাছে অদিতি সেনগুপ্তকে নিয়ে আসেন। আমি জেনেছিলাম সামির ‘এক্সেল ইভেন্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। বিদেশী নায়ক নায়িকাদের সাথে তার যোগাযোগ আছে। পরে সামিকে আমি চাকরী দেই।’
এই সামির মাধ্যমেই বাংলাদেশে গোপন অভিসারে এসেছিলেন ভারতীয় জনপ্রিয় নায়িকা শিল্পা শেঠী। তিনি দু’রাত গাজীপুরের ‘খোয়াব ভবন’-এ কাটিয়ে গেছেন।
মামুন এবং অদিতির বিয়ের দুজন সাক্ষী ছিলেন। একজন তারেক রহমান অন্যজন সামি। তারেক এবং মামুনের সঙ্গে সামি ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন সিলভার সেলিমের মাধ্যমে। এ সময়ই সামি বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেন হাঙ্গেরিতে।
২০০৬ সালের উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সামি দেশ ত্যাগ করে বুদাপেষ্ট চলে যান। সেখানে হোটেল ব্যবসার সুবাদে আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করেন। ঢাকা থেকে ভিআইপি কেউ ইউরোপে গেলেই তার পিছু নেন সামি। তার সাথে ছবি তোলেন।
তারেকের সঙ্গে সামির সম্পর্ক সব সময় ছিলো। ডেভিড বার্গম্যানকে তারেকই সামির কথা বলেন এবং তাকে এই মিশনে ব্যবহার করতে বলেন। তারেকের নির্দেশেই সামি তৎপর হন।
বুদাপেস্টে অবস্থানকারীরা জানান, তারেকের পেইড এজেন্ট হবার কারণে সামি বিপুল অর্থ খরচ করতে পারতো। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ভিআইপিদেরকে সামি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাতো অথবা দামী উপহার দিতো।
আরও ৪ জন সাবেক মন্ত্রীর সঙ্গেও সামির ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারেকের হয়েই এদের সঙ্গেও সামি একই ঘটনা ঘটিয়েছে। ইউরোপ আওয়ামী লীগের গ্রুপিং এর সুযোগে ২০০৯ সালে সামি আওয়ামী লীগে যুক্ত হন। এখানেই হাওয়া ভবনের সামি হয়ে যান আওয়ামী লীগের অতিথিপরায়ণ কর্মী। বাংলাইনসাইডার।