নিউজ ডেস্ক: ২০০৫ সালের পর থেকে প্রায় ১৫ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে রয়েছে দলটি। দুর্নীতিসহ নানা করণে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে জনগণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দীর্ঘ ১৫ বছরেও দুর্নীতির কলঙ্ক মোচন হয়নি বলেই বিএনপির আজ করুণ দশা।
দলীয় সূত্র মতে, সাংগঠনিক ভঙ্গুরতা, নেতৃত্বের কোন্দল ও অতীত অপকর্মের কারণে জনসমর্থনহীন হয়ে পড়া বিএনপি রাজনীতিতে আজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। অতীত অপকর্মের ফলে বারবার ভুল সিদ্ধান্ত ও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারার কারণে দলটির অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। দুর্নীতি ও অপকর্মের কারণে দলটির শীর্ষ দুই নেতা দেশের রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। যা বিএনপির মতো দলের জন্য অবশ্যই নেতিবাচক ফল বয়ে আনছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, বিএনপি জনগণের আস্থা অর্জনে সফল নয়। কারণ, নিজেদের গায়ে দুর্নীতি ও অপশাসনের তকমা আজো দূর করতে পারেনি। ফলে মানুষ বিএনপিকে ভরসা করে না। এজন্য অবশ্য বিএনপির শীর্ষ নেতাদের লাগামহীন দুর্নীতি ও অদক্ষতা দায়ী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির প্রভাবশালী একজন নেতা বলেন, বিএনপি ১৫ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। এই পুরো সময়টাতে বিএনপি জনগণের জন্য কিছুই করেননি। তারা সময় অতিবাহিত করেছে দলে তারেক রহমানের অবস্থান সৃষ্টি করতে। দলের ক্ষমতা খালেদা জিয়া থেকে তারেক রহমানের হাতে তুলে দিতেই বিএনপির কেটে গেছে ১৫ বছর। জনগণের জন্য কিছু করার সময় পায়নি। ফলে জনগণও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবী এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জনগণ বিএনপিকে কেন সমর্থন করবে? বিএনপি জনগণের জন্য কী করতে পেরেছে বা কী করবে? এ বিষয়টা বিএনপিকে জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনগণের কল্যাণে কী করবে সেই অবস্থানটা তুলে ধরতে হবে। যা তারা এখনো করতে পারেনি।