logo
Thursday , 24 December 2020
  1. সকল নিউজ

পদ বাণিজ্য ছাড়া তারেক রহমানের আয়ের উৎস নেই

প্রতিবেদক
admin
December 24, 2020 2:30 pm

নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য ও পদ বাণিজ্যের মাধ্যমেই তিনি হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন।

পরিচয় গোপন করা শর্তে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাজনীতি করা এক সিনিয়র নেতা জানান, সাঈদ এস্কান্দার নামে তারেক রহমানের একজন মামা ছিলেন। তিনি নিজের স্বার্থেই তারেক ও কোকোকে দিয়ে দুর্নীতির গোড়াপত্তন করেন।

তারেক রহমানের বয়স যখন ২০, তখন তার পরামর্শেই ছোটো ভাই কোকো সোনালী ব্যাংকে লঞ্চের জন্য ঋণের আবেদন করেন। পরে ওই ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তীতে তারেক, কোকো ও সাঈদ এস্কান্দার মিলে লঞ্চ, গার্মেন্টস ও ডান্ডি ডাইংসহ নামে-বেনামে আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়েন।

তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে তারেকের বয়স ছিল ৩৫। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন তারেক সৃষ্টি করলেন ‘হাওয়া ভবন’। সম্পদের পাহাড় গড়া এখান থেকেই শুরু। তারেক ও তার সুযোগ সন্ধানী বন্ধুরা এমন কোনো ব্যবসা নেই যে করেনি। শুধু ‘খাম্বা’ ব্যবসা করেই শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যান তারেকের বন্ধু মামুন।

শোনা যায়, হাওয়া ভবনে তারেক তার বাবার বয়সী অনেক প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে শুধু বেয়াদবি নয়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেছেন। তারেকের সঙ্গে প্রবীণ নেতারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও সাক্ষাৎ পাননি। হাওয়া ভবনে সারাক্ষণই ছিল টাকার ছড়াছড়ি। মাদকসেবী, বাটপার ও চিহ্নিত অপরাধীদের সঙ্গেই ছিল তারেকের দহরম-মহরম সম্পর্ক।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সে সময় তারেকের মেয়ে জায়মা পড়তো দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্কুলে। সেখানকার বেতন ছিল ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। ২০০১ সালে দল ক্ষমতায় গেলে অবৈধ পথে আসতে থাকে কোটি কোটি টাকা। তারেকের চালচলনেরও ঘটে ব্যাপক পরিবর্তন। তারেকের এক সময়ের ‘টোকাই’ বন্ধুরাও কোটি টাকার গাড়িতে চলতে শুরু করেন। তারেকের মেয়ের সঙ্গে তাদের কারো কারো সন্তানরাও ওই স্কুলে পড়তো।

তারা আরো জানান, ওই সময়ে তারেকের রাজনীতির চেয়েও বেশি মনোযোগ ছিল অবৈধ পথে টাকা উপার্জনে। টোকাই সেসব বন্ধু ও সাঈদ এস্কান্দারের কূটকৌশলে তারেক রাতারাতি বনে যান হাজার কোটি টাকার মালিক। পরবর্তীতে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও তারেকের বাবা জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার সময় তার বয়স ছিল ১৪ বছর। জিয়া মারা যাওয়ার পর তাদের সংসার শুধু দুই হাজার টাকা বেতনে চলতো, এমন কথা খালেদা জিয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন। আর জিয়ার ব্যবহার করা শার্ট-প্যান্ট অল্টার করে দুই ছেলে তারেক ও কোকো পরেছেন, এগুলোও অনেকের জানা।

তবে কয়েক বছরেই পাল্টে যায় সেই চিত্র। অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন হাজার কোটি টাকা। প্রায় এক যুগ ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করলেও নানা কৌশলে এরই মধ্যে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তারেক।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত