নিউজ ডেস্ক: মহান বিজয় দিবস ঘিরে বিএনপির তরফ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও চাঁদার অর্থের গড়মিলের কারণে যথাযথভাবে দিবসটি পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। জানা গেছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চাঁদার টাকা আত্মসাৎ করায় দলের প্রতি অনুগত নেতা-কর্মীদের অশ্রদ্ধা জন্ম দিয়েছে।
এছাড়া বিজয় দিবস উদযাপনে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য বিতরণের দায়িত্ব ছাত্রদলকে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ গতবারের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের খাদ্য বিতরণ, সাহায্য সামগ্রী বিতরণে ছাত্রদলের নামে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তাই ছাত্রদলকে বিজয় দিবসে খাদ্য বিতরণের নামে বড় দুর্নীতির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলটির নেতারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ন্যায় বিএনপিও ঘটা করে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের পরিকল্পনা করেছে। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছকও কষেছেন দলের হাইকমান্ড। ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকেই প্রায় ২ কোটি টাকার মতো চাঁদাও উঠেছে। তবে এ চাঁদার প্রায় ৫ লাখ টাকার হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি কারা এই চাঁদার টাকা আত্মসাৎ করেছেন, সেটি নিয়ে বিএনপিতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির সিনিয়র এক নেতা জানান, এবারের বিজয় দিবস ঘটা করে আয়োজন করে রাজনীতিতে নিজেদের প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিতে চায় বিএনপি। লন্ডনে অবস্থানরত পলাতক আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই দলের বিত্তশালী নেতাদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করতে থাকেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
জানা গেছে, মির্জা আব্বাস, মওদুদ আহমেদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মতো বিত্তবান নেতাসহ দায়িত্বশীল নেতারা এখন পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি টাকা দলীয় ফান্ডে চাঁদা জমা দিয়েছেন। আর সেগুলো যথার্থ হিসাব রাখার দায়িত্বে ছিলেন রিজভী। কিন্তু অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত মুহূর্তে এসে টাকার সঠিক হিসাব মেলাতে পারছেন না মির্জা ফখরুলরা। টাকার হিসাব না মেলাতে পারায় ফখরুল-রিজভীকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখছেন খোদ দলটির দাতারা।