নিউজ ডেস্ক: করোনাকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চান না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করবেন তিনি-বিএনপির তরফ থেকে এমন একটি তথ্য গণমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। যদিও গোপন সূত্র বলছে, উন্নত চিকিৎসার অজুহাতে দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে পড়েছেন বেগম জিয়া। দেশ ও দলের রাজনীতির প্রতি তিনি চরম বিরক্ত। তাই জীবনের বাকি দিনগুলো লন্ডনে আরাম-আয়েশে কাটাতে চান। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে বিষয়টি নিয়ে যেনো নতুন কোনো সমালোচনা না হয় তাই ভিন্নভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করতে বিএনপি।
একাধিক গোপন সূত্র বলছে, বেগম জিয়ার যেসব শারীরিক সমস্যা রয়েছে তা বাংলাদেশেই চিকিৎসা করা সম্ভব। তিনি বার্ধক্যজনিত কিছু কারণে অসুস্থ। বিএসএমএমইউ’ তে এসব রোগের চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু নানা অজুহাতে বেগম জিয়া সুচিকিৎসা নিতে নারাজ। তিনি চাইছেন, দেশ থেকে বের হতে। যেজন্যই উন্নত চিকিৎসার আড়ালে বিদেশ যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। দেশ ও দলের আগের বিদেশে গিয়ে মুক্ত জীবন যাপন করাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন বিএনপি নেত্রী। তার মতে, বিএনপিকে নিয়ে আর আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু চমক সৃষ্টিকারী নেতা গড়ে উঠছে না দলে, তাই বিএনপি প্রচলিত রাজনীতির বাইরে কিছু করতে পারবে না। আগামী নির্বাচন হতেও কয়েক বছর বাকি। এমতাবস্থায় দেশে থাকলে চেয়ে চেয়ে বিএনপির ভরাডুবি ও নিষ্ক্রিয়তা দেখতে হবে যা তাকে কষ্ট দিবে। তাই এসব যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেই বিদেশ যেতে চান বেগম জিয়া।
তবে আরেকটি সূত্র বলছে, বেগম জিয়া চাইলেও নিজ ইচ্ছায় বিদেশ যেতে পারবেন না। কারণ বেগম জিয়া এখনো বিএনপির প্রাণ, তাই দলের লাভ-ক্ষতির হিসাব কষেই তার বিদেশযাত্রার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন তারেক রহমান। এছাড়া জানা গেছে, তারেক চান না বেগম জিয়া বিদেশে বসবাস করে তার আপোষহীনতা প্রশ্নবিদ্ধ করুন। এটি হলে বেগম জিয়া ও বিএনপি দেশবাসীর কাছে মুখ দেখাতে পারবে না। তাই আপাতত দেশেই বেগম জিয়াকে রাখতে চান তারেক। এছাড়া জোবায়দা রহমানও চান না বেগম জিয়া লন্ডনে এসে থাকুন। সব মিলিয়ে তাই বেগম জিয়াকে দেশেই থাকতে হচ্ছে এবং তার বিদেশযাত্রার স্বপ্ন পূরণ হবে না বলেও সংশয় প্রকাশ করছেন অনেকেই।