logo
Tuesday , 20 October 2020
  1. সকল নিউজ

ফেনীতে ‘বেড়াতে আসা’ রাঙামাটির তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

প্রতিবেদক
admin
October 20, 2020 12:27 pm

ফেনীতে ‘বেড়াতে আসা’ রাঙামাটিবাসী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে শহরের অদূরে দেওয়ানগঞ্জ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন রাতেই ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হবে এবং আদালতে তরুণীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার মো. রিয়াজ (২৬) লক্ষীপুর জেলার কমলনগর থানার জগবন্ধু গ্রামের মো. ছাদেকের ছেলে ও পেশায় রিকশাচালক। অপরজন ছোটন চন্দ্র শীল (২২) চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের সমীর চন্দ্র শীলের ছেলে ও পেশায় সেলুন কর্মচারী।

রাঙ্গামাটি জেলার সদর উপজেলার ওই তরুণীকে উদ্ধৃত করে ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, খাগড়াছড়ি থেকে রোববার রাতে ফেনীতে এক বান্ধবীর কাছে বেড়াতে আসে ওই তরুণী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় রাত ১১টার দিকে বাস থেকে নেমে রিকশায় ফেনী শহরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি।

ওই সময় রিকশাচালক রিয়াজ তাকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে শহরের দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় নির্জন এক ডেকোরেশন দোকানের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর তাকে সালাহউদ্দিন মোড় সংলগ্ন কাঠবেল্লা এলাকায় নামিয়ে দিয়ে তিনি পালিয়ে যান।

পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ছোটন শীল নামে এক সেলুন দোকান কর্মচারী ওই তরুণীটিকে তার বান্ধবীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ফতেহপুর সড়কের একটি দোকান ঘরে নিয়ে ফের ধর্ষণ করেন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাদের গতিবিধি সন্দেহ হলে টহলরত পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।

একপর্যায়ে ওই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা পুলিশকে জানায়। পুলিশ তখন ছোটন শীলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে মেয়েটির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অপর ধর্ষক রিকশাচালককে আটক করতে পুলিশ অভিযান চালায়।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে মেয়েটি বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মডেল থানায় মামলা করেন। এদিন রাতে অভিযান চালিয়ে দেয়ানগঞ্জের একটি মেস থেকে রিকশাচালক রিয়াজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে তরুণী তার বান্ধবী অনুযায়ী বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় আবুল খায়ের ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে বলে জানালেও সেখানে তেমন কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ।

সর্বশেষ - সকল নিউজ